সম্প্রতি আগরতলা রাজনগরে সিপিআইএম দলের মিছিলের উপর আক্রমণকে সিপিআইএম দলের গোষ্ঠীকোন্দল হিসাবে বর্ণনা দিলেন আগরতলা ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি বললেন, সিপিআইম দলের প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস সহ ১০ থেকে ১২ জন দলীয় কর্মী আহত হওয়ার ঘটনা তাদের দলের গোষ্ঠী রাজনীতির কারণেই হয়েছে।

সিপিআইএম দল এখন দেউলিয়া পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। এখন সিপিআইএম দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। গত বিধানসভা উপনির্বাচনে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী দীপক মজুমদারের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ওই এলাকার বাম প্রার্থী রতন দাস। সেই সময় অনেক সিপিআইএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা উন্নয়নের নিরিখে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। ফলে এখন সিপিআইএম দলের মধ্যেই গোষ্টিবাজি মারাত্মক আকারে নিয়েছে। এদিকে ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরি বললেন, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। সিপিআইএম দলের প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্তদের নামধাম দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়েই আগরতলা রাজনগরে সিপিআইম দলের সভা চলাকালীন সময় বিজেপি দুষ্কৃতিকারীরা প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমণ সংগঠিত করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যদি পুলিশ অতিদ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তাহলে সিপিআইএম দল বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিকে আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্রান্ত প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস অভিযোগ করে বললেন, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের শাসনকালে গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। মহিলাদের পর্যন্ত ছাড়ছে না বিজেপি দুষ্কৃতিকারীরা। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তাই তারা এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জনগণ তার যোগ্য জবাব দেবে।