শুনলে আপনি হতবাক হয়ে যাবেন, এক হৃদয়চুর্ণ খবরের দিকে নজর রাখছি আমরা আজ।আজ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া পিতার কুশপুতুল দাহ করলেন ছেলে তার নিজের হাতেই।সালটা ছিল তখন আনুমানিক ২০০০, ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে পাড়ি দেয় ধুপগুড়ির গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের চরচড়াবাড়ি এলাকার বছর ৩৭ এর পরেশ রায় এমনটাই দাবি পরিবারের। সংসারের হাল ফেরাতে,মেয়ের বিয়ের অর্ধ জোগাতে মধ্যপ্রদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় সেই ব্যক্তি। কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সেই ব্যক্তি।

পরিবারের দাবি আজ থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর আগে নিখোঁজ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনের দারস্থ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু সময়ের পর সময় চলে গেল, হাজার খোঁজাখুঁজি করলেও আর খোঁজ মেলেনি পরেশ রায়ের। স্ত্রী তার স্বামীর অপেক্ষায়, ছেলে মেয়ে তার বাবার অপেক্ষায়, দাদা তার ভাইয়ের অপেক্ষায় এভাবেই দিন কাটাতে কাটাতে সালটা এসে পৌঁছায় 2025। এদিকে মেয়ের বিয়েও হয়ে যায়, ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক!অন্যদিকে স্বামীর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে নিখোঁজ পরেশ রায়ের স্ত্রী সরুবালা রায়ের বয়স হয়ে যায় আনুমানিক ৬০ বছর ।অবশেষে বাধ্য হয়ে পরিবারের তরফে হিন্দু রীতিমতে সমস্ত নিয়ম-বিধি মেনে খড়ের কুশপুতুল তৈরি করে পূর্ণ শ্রদ্ধায় বাড়ি থেকে কাঁধে তুলে শ্মশানঘাটে পৌঁছে শ্মশান কাজ অর্থাৎ দাহ করা হয় পরেশ রায়ের। তবে এমন বাস্তবতা যে কতটা কঠিন তা কেবল সেই পরিবারের ব্যক্তিরাই ভোগ করছেন। অল্প একটু রোজগার করতেই, ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিতেই, কিংবা কোন সময় চিকিৎসা কারণে বরাবর বাংলার শ্রমিক পরিবারকে যেতে হয় ভিন রাজ্যে আবার কখনো ভিন দেশে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে। আর সেখানেই একাধিক সময়ে ঘটে যায় নানান-বিপত্তি, কফিনবন্দির দেহ ফিরে আসে পরিবারের । আবার কখনো এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক। এর আগেও ওই সংশ্লিষ্ট এলাকায় একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু এরপরেও নেই সরকারি কোনো প্রচেষ্টা বাংলা শ্রমিকদের জন্য। এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতেই থাকবে আজীবন হয়তো। তবে দিনের ঘটনা কি বলেছেন পরিবারের সদস্যরা আমরা শুনবো তাদের মুখ থেকেই