দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। জেলা পরিষদ বুলবুল খান ঘনিষ্ঠ দুই তৃণমূল নেতার বাড়ি ও দোকানে মন্ত্রী তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠীর হামলার ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যার পর থমথমে পরিবেশ তৈরি হল হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায়। জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের নেতৃত্বে হরিশ্চন্দ্রপুরে সদর এলাকায় ভিড় জমালেন বিভিন্ন অঞ্চলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। যার জেরে গন্ডগোলের আশঙ্কা আঁচ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তায় টহলদারি শুরু করে। ফলে নতুন করে আর কোন অশান্তি, গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান এবং হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাজমূল হোসেনের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল মাস দুয়েক আগে প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে। সেই রদবদলের পর আরও চওড়া হয়েছে দুই গোষ্ঠীর কোন্দল।যা গত মঙ্গলবার রাতে চরম আকার ধারণ করে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকর্মীদের একাংশ হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি পূজন দাস এবং আইএনটিটিইউসির বর্তমান ব্লক সভাপতি সাহেব দাসের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। যার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে আক্রান্ত দুই তৃণমূল নেতার অনুগামী সহ দলীয় নেতাকর্মীরা মিলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সোচ্চার হন। পরে তারা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন। তবে এখানেই শেষ I নয়। বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলাপরিষদ সদস্য বুলবুল খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু তৃণমূল নেতাকর্মী হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ভিড় জমান। যা দেখে ফের নতুন করে গন্ডগোলের আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সাধারণ ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা নামতে না নামতেই দোকান বন্ধ করে দেন। রাস্তাঘাট অনেকটাই শুনশান হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী টহলদারি শুরু করে। রাস্তায় জমায়েত, জটলা দেখলেই তা তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দেয়। ফলে নতুন করে আর কোন গন্ডগোল, অশান্তির ঘটনা ঘটেনি।