নাগরাকাটা ব্লকে জলঢাকা নদী থেকে প্রকাশ্য চলছে বালি-পাথর পাচার। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের নজরদারি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নির্দেশ দিয়েছেন,অবৈধ বালি খাদান বন্ধের ব্যাপারে। তা থেকে গেছে শুধুমাত্র তার বক্তব্যে। নাগরাকাটার ছবি থেকে তা পরিস্কার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে আমল দিচ্ছেন না নিচু তলার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে রাজ্য সেচ দপ্তরের তরফে বর্ষার মরসুমে নদী থেকে বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছ। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই সেচ দপ্তরের সচিবের তরফ থেকে জেলাশাসকদের নির্দেশ নামা পাঠানো হয়েছে এই বিষয়ে। সরকারি খাদানও বন্ধ রাখার কথা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে ছবিটা ভিন্ন। জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানার অন্তর্গত জলঢাকা নদীতে প্রকাশ্যেই চলছে বালি-পাথর পাচার। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের মদতেই এই অবৈধ ব্যবসা চলছে। জেলা সম্পাদক চন্দন দত্তের দাবি, “শুধু নাগরাকাটা নয়, গোটা জেলা জুড়েই চলছে অবৈধ বালি-পাথর পাচার। পুলিশ থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতারা—সবাই এই টাকার ভাগ পাচ্ছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং পাল্টা মন্তব্য করেছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানা সবার দায়িত্ব। মাঝে মাঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অবৈধ কাজ করে। পুলিশ সুপার সব সময় সক্রিয় থাকেন। প্রশাসনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।” ফলে প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশের পরেও কেন থামছে না বালি-পাথর পাচার? প্রশাসনের ভূমিকা কি সত্যিই প্রশ্নের মুখে?