স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নেই একটি করে পা, জীবনযুদ্ধে লড়াই অমিত ও কল্যাণীর। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে একে অপরকে জীবনসঙ্গী করে বেছে নিয়েছেন বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব দুরামাড়ির অমিত ও ধূপগুড়ির শালবাড়ীর কল্যাণী।জানা গেছে প্রায় তিন বছর আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় একটি পা হারিয়েছেন অমিত অপরদিকে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় কল্যানীর ও একটি পা কাটা পড়ে সড়ক দুর্ঘটনায়। সম্প্রতি অমিত- কল্যানীর চারহাত এক হয়েছে। অভাবের মধ্যেও সুখে থাকতে চাইছেন তারা দুজন। অমিতের বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন, সংসার চালাতে তার মাকে ছুটতে হয় অন্যের বাড়িতে কাজের সন্ধ্যানে ।

এদিকে সংসারের অভাব অনটন কিছুটা মেটাতে অমিত এক পা নিয়েই ছুটে যান পার্শ্ববর্তী বাজারে লটারির টিকিট বিক্রি করতে সেখানে যা সামান্য কিছু উপার্জন হয় সংসার চালাতে মায়ের হাতে তুলে দেন, তবে পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নেই! এই জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা মিলছে না বলেই অভিযোগ অমিতের। জানা গেছে মাসে এক হাজার টাকা মানবিক ভাতার টাকা ঢোকে কল্যাণীর একাউন্টে। তবে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন নথি জমা দিলেও এখনো মেলেনা অমিতের ভাতা। সরকারি ভাবে অমিতের ভাতা এবং একটি ট্রাই সাইকেল যদি ব্যবস্থা হতো তাহলে খুব সহজেই পেটের অন্ন জোগাড় করতে ছুটে যেতে পারতেন। তারা আবেদন রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা সরকারের তরফ থেকে তাদের পাশে দারানোর।