শিলিগুড়ি থেকে যুবতী পাচারের ঘটনায় সামনে এল নতুন তথ্য। গ্রেফতার হওয়া তিন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মানব পাচার সংক্রান্ত ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারী সূত্রের দাবি, গোটা ঘটনার পেছনে তামিলনাড়ু থেকে নিয়ন্ত্রিত একটি বৃহৎ আন্তঃরাজ্য পাচার চক্র সক্রিয়। এনজেপি এলাকা থেকে যুবতী পাচারের অভিযোগ ওঠার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই শিলিগুড়ি জংশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৪ জন যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া যুবতীরা সকলেই তরাই ও ডুয়ার্স এলাকার বাসিন্দা।

এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ধৃত গৌতম রায় সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন—“যুবতীদের নিয়ে যাওয়ার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র আমরা পুলিশকে দিয়েছি। এরপরও আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” তবে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করতেই পাচারের উদ্দেশ্যে যাত্রার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন—
“প্রাথমিকভাবে পাচারের বিষয়টি উঠে এসেছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে এসেছে, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থেই ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।”