আলিপুরদুয়ারে নির্মিত হতে চলেছে সুইমিং পুল কিন্ত সেই সুইমিং পুল নির্মাণের কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। || চা বাগানের জলাশয়ের মধ্যে পড়ে গেল লেপার্ড আর সেই লেপার্ডকে উদ্ধার করতে তুলকালাম কাণ্ড ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার রায়মাটাং চা বাগানে। || অভাবকে সাথে নিয়েই সংগীত সাধনায় বীরভূমের আশা লতা মালাকার। || প্রেম মানে না বয়স প্রেম মানে না জাতপাত। || আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা || মৌন মিছিল ও মোমবাতি জ্বালিয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় রামমোহন রায় ফ্যানস ক্লাব || আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার আরো এক বাংলাদেশী! || অসমে গাঁজা পাচার করতে ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার কুখ্যাত নেশা পাচারকারী বিশাল নট্ট দাস! || জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাম ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কুরুচিকর মন্তব্য না করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানালেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিআইএম নেতা রতন ভৌমিক! || বৃষ্টির পর জলমগ্ন আগরতলা শহর! ||

ভাগাড় সরিয়ে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা, চলছে সার্ভে: নিজের তহবিলেই অর্থের ব্যবস্থা রাজ্যের, জানালেন ফিরহাদ হাকিম

বহু বছর ধরে জমে থাকা ভাগাড় সরানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখানকার মাটি একেবারেই ব্যবহারযোগ্য নয়। আজ, সোমবার সারাদিন জুড়ে ওই এলাকায় সার্ভে চলছে। আগামীকাল পুর ও নগরন্নয়ন দফতরে বৈঠক বসে ঠিক হবে—ভাগাড় থেকে সরিয়ে কোথায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

এ বিষয়ে পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এখানে পুরো অঞ্চলটাই ভাগাড়, এখানে কোনও মাটি নেই। মানুষ অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছিল। তাই খালি জমি চিহ্নিত করে, সেখানেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’’

ফিরহাদবাবু আরও জানান, “কেন্দ্রীয় সরকার গ্রাম বা শহরের জন্য কোনও বরাদ্দ দিচ্ছে না। তাই রাজ্য সরকার নিজেদের তহবিল থেকেই পুরো অর্থের ব্যবস্থা করছে।”

তিনি বলেন, “অনেক বছর ধরে এই মাটি পড়ে থাকায় তা শক্ত আর ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। আমরা যখন এই অংশ কাটছি, তখন দেখা যাচ্ছে, অনেক জায়গা আলগা হয়ে যাচ্ছে, আবার কিছু জায়গায় ভেঙেও পড়ছে। এর ফলে জমির উপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। তাই দ্রুত প্রসেসিং-এর কাজ শুরু করা দরকার।”

পাশাপাশি, কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, বিপজ্জনক অঞ্চলগুলিতে অবিলম্বে শিট পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে। যেসব এলাকায় বর্জ্য জমা হয়েছে, সেগুলি ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে প্রসেসিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে জায়গা ফাঁকা হবে, আগামী দু’মাসের মধ্যে সেখানে প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম জানান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজও কাল থেকেই শুরু করবে কেএমডিএ।

তিনি আরও বলেন, “নগরন্নয়ন দফতর এবং কেএমডিএ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এখানে পোর্টেবল কম্প্যাক্টর বসানোর মতো জায়গা কোথায় পাওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে দ্রুত কর্মসূচি নেওয়া হবে। সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। শহরের বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা চিহ্নিত করে দ্রুত প্রসেসিং এবং পুনর্বাসন দুই-ই শুরু করতে হবে।”

মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে। তবে বায়ো-মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলবে। ফিরহাদবাবুর কথায়, “মিথেন গ্যাস মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আমরা চাই, দ্রুত এই গ্যাস নির্গমন বন্ধ করে পুরো এলাকা পরিষ্কার করে ফেলা হোক। আমরা জাদু করতে পারি না, কিন্তু পরিকল্পনা মতো কাজ চললে কয়েক বছরের মধ্যেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

শেয়ার করুন -

Facebook
WhatsApp
Email

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার এলাকার খবর -

Scroll to Top