শিলিগুড়ি আশিঘর কলোনির একটি বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার মৃ*তদে*হ। জানা গিয়েছে মৃ*তা বৃদ্ধার নাম লক্ষ্মী রানি দাস, বাড়ি ফকদই এলাকায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃ*তার পরিবারের দাবি, এটি একটি নির্মম হ*ত্যাকাণ্ড।
জানা গিয়েছে, গত ২৮ জুলাই (সোমবার) লক্ষ্মী রানী দাস বাজার করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোন সন্ধান পাননি। পরদিন, ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) আশিঘর কলোনির বাসিন্দা নারায়ণ মণ্ডল পুলিশকে জানান, এক অজ্ঞাত বৃদ্ধা তাঁদের বাড়ির বাথরুমে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। এরপর আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃ*তদে*হটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

তবে মৃ*তার পরিবার এ মৃ*ত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। লক্ষ্মী রানীর ছেলে কৃষ্ণ দাস জানান, ময়নাতদন্তের আগেই দেখা যায়, তাঁর মায়ের গলায় দড়ি পেঁচানো ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, এটি নিছক স্ট্রোক নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত খু*ন।
তিনি আরও জানান, নারায়ণ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে তাদের কোনও পূর্বপরিচয় বা সম্পর্ক নেই। এমনকি তারা একে অপরকে চিনতেনও না। কৃষ্ণবাবুর আশঙ্কা, জমি সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তার মাকে ওই বাড়িতে ডেকে এনে হ*ত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
৩০ জুলাই রাতে আশিঘর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃ*তার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নারায়ণ মণ্ডল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। বুধবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়।
অন্যদিকে নারায়ণ মণ্ডল জানান, বৃদ্ধা ভিক্ষা চাইতে তাঁদের বাড়িতে ঢোকেন এবং বাথরুম ব্যবহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও দরজা না খোলায় সন্দেহবশত দরজা ভেঙে দেখেন, বৃদ্ধা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পরে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।