দিন আনে দিন খায়, এমন এক সাধারণ পরিবারের জীবনে হঠাৎ করেই নেমে এসেছে চরম অন্ধকার। প্রাণঘাতী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন বানারহাট ব্লকের দুমারীর দক্ষিণ শালবাড়ি এলাকার সুনীল স্থানপতি। হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন এই প্রৌঢ়, আর সেই যন্ত্রণার মাঝে আশার শেষ আলো হয়ে দাড়িয়েছেন তার ছেলে সঞ্জয় দেবনাথ। সঞ্জয় আজ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন, হাতে প্ল্যাকার্ড নয়, শুধু দু’হাত জোড় করে মানুষের করুণা প্রার্থনা করছেন—“আমার বাবাকে বাঁচান।” কারণ বাবার চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ নেই পরিবারের হাতে। ইতিমধ্যেই তিনটি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে সুনীলবাবুকে। আরও চিকিৎসা বাকি। কিন্তু বিপুল চিকিৎসার খরচের বোঝা এই নিম্নবিত্ত পরিবার বইতে পারছে না। সুনীলবাবু পেশায় একজন গাড়ি চালক ছিলেন। সৎ আর সহজ-সরল মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

কিন্তু আজ যখন তিনি সবচেয়ে বেশি অসহায়, তখন অনেক পরিচিত মুখই অদৃশ্য। একমাত্র ছেলে সঞ্জয় মাঠে-ঘাটে কাজ করে কোনও মতে সংসার চালাচ্ছেন। এখন বাবার জীবন বাঁচাতে তাকে ভরসা করতে হচ্ছে জনসাধারণের উপর। অল্প কিছু সহৃদয় যুবক এগিয়ে এসেছেন সঞ্জয়ের পাশে। তবে চিকিৎসার খরচ যে পরিমাণ, তা জোগাড় করতে হলে প্রয়োজন সমাজের আরও অনেকের সহানুভূতি ও সহায়তা।
“আমি বাবাকে আবার সুস্থভাবে ঘরে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমার বাবার জীবনটা আপনাদের একটু সাহায্যে হয়তো রক্ষা পেতে পারে।” আমরা বেঙ্গল টাইমস-এর পক্ষ থেকে সুনীল স্থানপতির পাশে রয়েছি। যারা এই প্রতিবেদনটি দেখছেন বা পড়ছেন, তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ—আপনার সাধ্যের মধ্যে যদি কিছু থাকে, তবে দয়া করে সত্যতা যাচাই করে সুনীলবাবুর পাশে দাড়ান। আজ একজন অসহায় পিতা বাঁচার লড়াইয়ে, তার ছেলের চোখে ভরসা খোঁজে।