কিছুক্ষণের জন্য প্রয়োজনে বাইক নিয়ে গিয়ে প্রতারণা। একবছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পুলিশের জালে দুষ্কৃতি এবং উদ্ধার করা হলো সেই বাইক।
জানা গিয়েছে, সোয়েব আখতার কাজ করত একটি কনসালটেন্সি সেন্টারে। ওই কনসালটেন্সিতেই দাগাপুরের এক বাসিন্দা কুণাল রায়ের সঙ্গে পরিচয় হয় সোয়েবের। গতবছর জুলাই মাসে একদিন কোথাও একটা যাবার জন্য কুণালের বাইকটি অল্প সময়ের জন্য চেয়েছিল সোয়েব। যেহেতু চেনাজানা ছিল, সেজন্য বিশ্বাস করে কিছুক্ষণের জন্য বাইকটি দিয়েও দেয় কুণাল। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই। কিছুক্ষণের জন্য বাইক চেয়ে নিয়ে গেলেও মিনিট পেরিয়ে ঘন্টা, ঘন্টা পেরিয়ে মাস বাইক আর ফেরত পায়নি কুণাল।

এমনকি সোয়েবেরও তারপর থেকে আর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গতবছর নভেম্বর মাসে এই বাইক উধাও এর ঘটনা নিয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে কুণাল রায়। অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযুক্ত সোয়েবের খোঁজ করছিল পুলিশ। মাস খানেকের তদন্তের পর অবশেষে মিলল সাফল্য। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর গত ১৮ই এপ্রিল ভোররাতে শিশাবাড়ি এলাকা থেকে সোয়েব আখতারকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর পুলিশ। এরপর আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ধৃত সোয়েবকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তীতে সোয়েবের ইসলামপুরের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া বাইকটি উদ্ধার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ধৃতকে রিমান্ডের সময়সীমা শেষে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।