বনধে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ঘুরে গিয়েছিল শিশু ও মায়েরা। সেজন্য বৃহস্পতিবার প্রায় ১৫ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা, সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে কর্মীরা এসে দেখেন সেন্টারে তালা মারা রয়েছে। এরপরে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে চান গতকাল কেন সেন্টার বন্ধ ছিল। শিশু ও মায়েরা এসে ঘুরে গেছে আমরা জানতে চাই গতকাল কেন বন্ধ ছিল তাই তালা মারা হয়েছে। ঝাড়আলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২৩ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে গতকাল এলাকার প্রায় ১৫ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ ছিল আর সেই কেন্দ্রগুলিতে তালা লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের ধূপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক সভাপতি মলয় রায়, ঝাড়আলতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রবি রাভা সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। কয়েকজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা স্বীকার করেছেন ধর্মঘটের জন্য তারা আসেননি। অনেকে আবার ভুল স্বীকার করেছেন। অন্যদিকে এবিষয়ে তৃণমূল নেতারা জানান গতকাল স্কুল সহ সরকারি দপ্তর সমস্ত কিছু খোলা ছিল। তাহলে এখানকার বেশ কয়েকটি সেন্টার কেন বন্ধ ছিল। এবিষয়ে সিডিপিওকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান তৃণমূল নেতারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধূপগুড়ির সিডিপিও নীলাঙ্ক গাঙ্গুলী সহ সুপারভাইজার। সকলকে নিয়ে বৈঠক করেন আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিডিপিও নীলাঙ্ক গাঙ্গুলী। কেন এতগুলো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশ্ন করতেই কার্যত দৌড়ে পালায় সিডিপিও।