শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বোর্ড মিটিংয়ে ঘটে যাওয়া অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র পরিষদের সদস্য ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ বর্মণকে শোকজ করলো তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে দিলীপ বর্মণের প্রতি আচরণের প্রতিবাদে হুশিয়ারি দিয়ে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন কে এল ও (কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন) প্রধান জীবন সিংহ।
গত ৩০ জুলাই বোর্ড সভায় শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার এবং চেয়ারম্যান প্রতুল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন দিলীপ বর্মণ। বেআইনি নির্মাণ ও খাটাল উচ্ছেদ সংক্রান্ত প্রসঙ্গে “চোরে চোরে মাসতুতো ভাই” মন্তব্য করে আলোচনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর তাঁকে সভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
দিলীপ বর্মণের অভিযোগ, তিনি রাজবংশী কামতাপুরী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলেই তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে। পরদিনই ইস্টার্ন বাইপাসের বানেশ্বর মোড়ে তাঁকে নিয়ে পথ অবরোধ করেন রাজবংশী কামতাপুরী সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

এই ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, রাজবংশী-কামতাপুরী সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তাঁর বাড়ির সেবা কার্যতেও ওই সম্প্রদায়ের মানুষ যুক্ত রয়েছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন, মেয়র ওই সম্প্রদায়কে “নিম্নস্তরের কাজ”-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
এরপর রবিবার দুপুরে কলকাতা থেকে দিলীপ বর্মণকে শোকজ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে কে এল ও চিফ জীবন সিংহ একটি ভিডিও বার্তায় হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দিলীপ বর্মণের সঙ্গে যারা অশোভন আচরণ করেছে, তাদের হাটু ভেঙে দেওয়া হবে, প্রয়োজনে আন্দোলনে নামা হবে।”
এ প্রসঙ্গে মেয়র গৌতম দেব জানান, দিলীপ বর্মণের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত কলকাতা থেকে নেওয়া হয়েছে, এতে তাঁর কিছু বলার নেই। জীবন সিংহের হুমকি সম্পর্কে বলেন, ‘‘এভাবে হুমকি দেওয়া ঠিক নয়। রাজ্য সরকার রাজবংশী-কামতাপুরী সম্প্রদায়ের জন্য বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছে।’’