শুক্রবার ত্রিপুরা বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারদের জন্য ৩ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষনা করলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বললেন, বিকশিত ত্রিপুরা নির্মাণের লক্ষ্যে রচিত হয়েছে এবারের “ত্রিপুরা বাজেট ২০২৫-২৬”। এই বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উন্নত পরিকাঠামো নির্মাণ, জনগনের জন্য সুশাসন, কারিগরি ক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও সংস্কার সাধন, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন এবং ব্যবসায়িক সরলীকরণের উপর। বাজেট নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায় জানালেন, ত্রিপুরা সরকারের ব্যবস্থাপনায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলায় নির্মিত হবে ‘ভারত মাতা ক্যান্টিন’, আগরতলা পৌরনিগমের পরিচালনায় এই ক্যান্টিনে দুরবর্তী এলাকা থেকে আগরতলায় সফরকারী রাজ্যের নাগরিকদের মিলবে সুলভে ভোজন ও নৈশযাপনের সুবিধা।

ত্রিপুরা সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ‘মুখ্যমন্ত্রী কন্যা বিবাহ যোজনা’ নামে একটি যোজনা শুরু করছে যার মাধ্যমে অন্ত্যোদয়ভুক্ত পরিবারের কন্যার বিবাহের জন্য সরকার ৫০,০০০/- টাকা ব্যয় করবে ,যার জন্য ১০ কোটি টাকার অর্থরাশি বরাদ্দ করা হয়েছে । এছাড়াও ত্রিপুরার মহকুমা গুলোতে আয়োজিত হবে গণবিবাহ। ত্রিপুরা বিধানসভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট ৩২,৪২৩.৪৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। গরীব, যুবশক্তি, অন্নদাতা ও নারীশক্তি সহ সকল শ্রেণীর কল্যাণে প্রগতির পথকে আরো প্রশস্ত করার ঘোষণা রয়েছে এই বাজেটে। বাজেটের মূল ছয়টি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উন্নত পরিকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট উপস্থাপনের সময় ত্রিপুরার প্রশাসনিক শক্তি ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের চিত্রও তুলে ধরা হয়।এই বাজেটের মাধ্যমে ত্রিপুরায় রূপান্তরমূলক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ত্রিপুরাবাসীর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।