জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের বিবাদ কে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। দফায় দফায় সংঘর্ষ। অভিযোগ করতে গিয়ে থানার সামনেও মারধর। আহত হয়ে হাসপাতালে গেলে সেখানেও ধুন্দুমার। কেটে নেওয়া হল কান। হাসপাতাল চত্বর আতঙ্কিত অন্যান্য রোগীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শনিবার দুপুরে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের গাঙ্গর গ্রামে রাস্তার ধারের আট কাঠা জমি নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। কয়েক মাস ধরেই ওই এলাকার মজিবুর রহমানের সঙ্গে শারফরাজ আলমের এই সমস্যা চলছিল।মজিবুরের অভিযোগ তারা ওই জমি কিনে নিলেও শারফারাজরা জবর দখল করার চেষ্টা করছে।এই নিয়ে প্রথমে এদিন এলাকায় তার দোকানে গিয়ে চড়াও হয় অপর পক্ষ।

তাকে মারধর করে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলে থানার সামনেও দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তায় চলতে থাকে মারধর। মজিবুরের কান কাটার অভিযোগ ওঠে শারফরাজদের বিরুদ্ধে। সেখান থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে গেলে সেখানেও ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।শেষে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। দুই পক্ষের মোট পাঁচ জন আহত হয়েছে। চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। দুই পক্ষই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলে তাদের দাবি। তৃণমূলের মদতেই জমি মাফিয়াদের বাড়-বাড়ন্ত অভিযোগ বিরোধীদের। দলের যোগ নেই দাবি তৃণমূলের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।