বিশ্ব আদিবাসী দিবস নিয়ে প্রশাসনিক সভা || মোটর বাইক আটকে বিকট শব্দের সাইলেন্সার খুলে দিল পুলিশ || দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে অঞ্চল অফিসে ধর্নায় বিরোধীরা || মেয়র গৌতম দেবকে সংবর্ধনা জানালো নমঃশূদ্র উদ্বাস্তু সেলের তৃণমূল নেতারা || দুই ভাইয়ের বিবাদে ট্রাক্টর চালিয়ে নষ্ট করা হলো ধানের চারা || এন আর সি নোটিশ পেল রামপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা || আগে সাত লক্ষ তারপর উন্নয়ন ! শোরগোল গাজলে || পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ের বিয়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য || যুবকের স্কুটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং হামলা, চাঞ্চল্য বিনয় মোড়ে || বীর চিলা রায়ের মূর্তি বসবে বানেশ্বর মোড়ে ||

চরম সঙ্কটে হাজার হাজার ক্ষুদ্র চা চাষী, ন্যায্য দামের দাবিতে সরব চাষীরা

দার্জিলিং পাহাড় ও আশেপাশের অঞ্চলের হাজার হাজার ক্ষুদ্র চা চাষী বর্তমানে চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। উৎপাদিত কাঁচা চা পাতা বাজারে বিক্রি করেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। ফলে সংসার চালানোই দায় হয়ে উঠেছে। চাষীদের মূল অভিযোগ— মধ্য-স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে চাষীরা প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা একত্রিত হয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। চাষীদের প্রধান অভিযোগ ও দাবি ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ কাঁচা চা পাতার জন্য সুনির্দিষ্ট সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম ঘোষণা করা হোক, যাতে কৃষকরা প্রতারিত না হন। অবৈজ্ঞানিক ওজন পদ্ধতি অনেক সময় পাতায় জল ছেটানো হচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে, যাতে ওজন বেড়ে চাষীরা কম দাম পান। এ বিষয়ে কড়া নজরদারি ও ব্যবস্থা দাবি করছেন তাঁরা।

নিম্নমানের চায়ের ভেজাল বাজারে টি ওয়েস্ট বা ভূষি মিশিয়ে নিম্নমানের চা বিক্রি হচ্ছে, যা ‘দার্জিলিং চা’-এর সুনাম ক্ষুণ্ণ করছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা। সরকারি প্যাকেজের দাবি ক্ষুদ্র চাষীদের আর্থিক সুরক্ষা ও দীর্ঘ মেয়াদি স্থায়িত্বের জন্য সরকারিভাবে বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ চালুর দাবি জানানো হয়েছে। পাতা তোলার সময়সীমা বৃদ্ধি, আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও উৎপাদনকে মাথায় রেখে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাতা তোলার অনুমতি চেয়েছেন চাষীরা। এতে কিছুটা হলেও আর্থিক ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব বলে তাঁদের আশা। প্রশাসনের কাছে চাষীদের আবেদন:
চা শিল্পে ক্ষুদ্র চাষীদের ভবিষ্যৎ যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেই লক্ষ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র— উভয় সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষত দার্জিলিং চা যেহেতু GI-tag প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, তার গুণমান রক্ষায় ভেজাল উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও ব্যবস্থা দরকার।

শেয়ার করুন -

Facebook
WhatsApp
Email

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার এলাকার খবর -

Scroll to Top