কেরল কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃ*ত্যু হলো ধূপগুড়ির এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃ*ত শ্রমিকের নাম রোহিত রায় (বয়স আনুমানিক ২৭বছর)। তিনি জন্মসূত্রে শাকোয়াঝড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাল আলতা দুই গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তর খট্টিমারি অধিকারী পাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ছয় বছরের পুত্র সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। জানা গেছে, কিছুদিন আগে জীবিকার সন্ধানে তিনি কেরালায় কাজ করতে গিয়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, গত বৃহস্পতিবার কেরালার ওনাম উৎসব পালন করার পর অন্য একটি কোম্পানিতে তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসেন।ওখানেই রোহিতের সঙ্গে তার কয়েকজন সহকর্মীর বচসা হয়। সেই ঘটনার পরই আচমকা তার মৃ*ত্যুর খবর পৌঁছায় পরিবারের কাছে। পরিবারের অভিযোগ, রোহিতকে খু*ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ঝাড় আলতা দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনজন সহকর্মীকে আটক করেছে কেরালা পুলিশ এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

মৃ*ত রোহিত রায়ের পরিবার জানিয়েছে, তাদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। তাই নিজের চেষ্টায় কেরালা থেকে মৃ*তদে*হ ফিরিয়ে আনা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া দে*হ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে শোকাহত পরিবার।
এদিকে ধুপগুড়ি গ্রামীণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রোহিতের শশুর বাড়ির প্রতিবেশী মলয় কুমার রায়, গোটা ঘটনা ব্যাখ্যা দিয়ে, দ্রুত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পাশাপাশি এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।