অভাব যেন পিছু ছাড়ে না বীরভূমের রাজনগর ব্লকের চন্দ্রপুর থানার তাঁতিপাড়া মালিপাড়ার গৃহবধূ আশা লতা মালাকারের। অভাবকে সাথে নিয়েই আশালতা মালাকার তার সংগীত সাধনা চালিয়ে যাচ্ছেন আজও। স্বামী প্রদীপ মালাকার একজন ক্ষুদ্র মালাকার শিল্পী। চোখেও দৃষ্টি শক্তি কম। তাই স্বামীর ক্ষুদ্র ব্যবসায় সহযোগিতা করার পরও এবং সংসারের কাজকম্ম চালানোর পাশাপাশি আশালতা মালাকার সকলের অজান্তেই সংগীত সাধনা করে যাচ্ছেন নিয়মিত। আশালতা মালাকারের এক মেয়ে ও এক ছেলে।

খুবই কষ্ট করেই একমাত্র মেয়ের বিবাহ দিয়েছেন বছর কয়েক আগে। সংসারের অভাবের কারণে একমাত্র ছেলেকেও যে সুদূর পড়াশোনা করাতে পারেননি। আশালতা মালাকারের বাপের বাড়ি তারাপীঠ থানার অন্তর্গত খরুন গ্রামে। সঙ্গীত বাপের বাড়ি রক্ত সূত্রেই পাওয়া। কোন শিক্ষাগুরুর কাছে সংগীতের তালিম না নিয়েই রেডিও টিভির গান শুনেই মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই সংগীতের প্রতি ঝোঁক ও অদম্য ইচ্ছা আশালতাকে সংগীত প্রেমী করে তুলেছে। শশুর বাড়ি তাঁতি পাড়াতে সংগীতে পরিবেশ না থাকলেও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও তার সঙ্গীত সাধনায় উৎসাহ দেন। একদিকে সংগীত সাধনা অন্যদিকে কুটির শিল্পের অন্তর্গত মালাকারদের ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখা অপরদিকে অভাবের সংসারেও থেকেও যে সংগীত সাধনা করা যায় আন্তরিকতা ও ভালবাসার সাথে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তাঁতিপাড়ার এই গৃহবধূ আশা লতা মালাকার। তাই তার সকলের কাছে আবেদন তার এই সংগীত সাধনায় তাকে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন যাতে সে সংগীতে জগতে নিজেকে তুলে ধরতে পারে এবং প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।